সেন্টমার্টিনে ১৯১৭টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা প্রদান
প্রকাশিত : ২০:৪৯, ৩১ মার্চ ২০২৩
সেন্টমার্টিনে ১৯১৭টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা প্রদান করা হয়েছে। কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কর্মসূচির আওতায় এসব কুকুরকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ২১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ টানা ৭ দিন পর্যন্ত কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ব্যাপক হারে কুকুর টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি'র আওতায় যা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (সিডিসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার বিভাগ।
তথ্যমতে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পারস্পরিক সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল অপারেশনাল প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির ব্যাপকহারে কুকুর টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রমের অধীনে চলতি মাসের গত ২১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৬টি দক্ষ টিমের সমন্বয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল বেওয়ারিশ ও পোষা কুকরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা প্রদান করা হয়েছে। মোট টিকাপ্রাপ্ত কুকুর সংখ্যা ১৯১৭ যা দ্বীপের মোট কুকুরের ৭০% এর বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমডিভি এক্সপার্ট ডা. এম. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কুকুরকে টিকা প্রদানের পাশাপাশি একমাত্র বন্ধ্যাকরণ-ই সেন্টমার্টিনে কুকুরের সংখ্যাধিক্য হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণের টেকসই এবং বিজ্ঞানসম্মত সমাধান। পাশাপাশি কুকুরগুলোর দায়িত্বশীল অভিভাবকত্ব/মালিকানা প্রসারণ, সুষ্ঠু খাদ্যবর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অন্যত্র এডপশন প্রয়োজন। এজন্য আন্তর্জাতিক প্রাণিকল্যাণ স্ট্যান্ডার্ড মেনে সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্বশীল ভূমিকায় যেসব অংশীজন কাজ করে, তাদের পারস্পরিক সমন্বয়পূর্বক যুগোপযুগী পদ্ধতিতে সেন্টমার্টিনে কুকুর বন্ধ্যাকরণ অত্যন্ত জরুরি।'
উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এটি বঙ্গোপসাগরের উপকূল সীমান্ত টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত।
কেআই//
আরও পড়ুন